সাদিক অ্যাগ্রোর উচ্ছেদের বিষয়ে যা বললেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

অনলাইন ডেস্ক
২৭ জুন ২০২৪, ১৭:১৬
শেয়ার :
সাদিক অ্যাগ্রোর উচ্ছেদের বিষয়ে যা বললেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

সাদিক অ্যাগ্রোতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে রামচন্দ্রপুর খাল ভরাট করে গড়ে ওঠা রিকশা গ্যারেজও উচ্ছেদ করা হয়।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর সিটির অঞ্চল ৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোতাকাব্বীর আহমেদ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানের বিষয়ে মোতাকাব্বীর বলেন, ‘রামচন্দ্রপুর খালের দুই ধারে যারা অবৈধ দখলদার ছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযান। খালের জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশন থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগেও এখান থেকে উত্তর সিটির মেয়র ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়েছেন, বহুতল ভবন ভেঙেছেন। এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ।’

তিনি বলেন, ‘আজকের অভিযানে দেখেছেন রামচন্দ্রপুর খালের তীর দখল করে স্থাপনা করা হয়েছে। সেই স্থাপনা দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সবাইকে আইন মেনে ব্যবসা করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নয়। আমাদের অভিযান অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে। সাদিক অ্যাগ্রোর মালিককে ঈদের আগেও আমরা নোটিশ দিয়েছি। অবৈধ স্থাপনা থাকলে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আমরা ঈদের আগে উচ্ছেদ অভিযান করিনি কারণ এর ফলে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতো। আমরা এমনটা চাইনি বলে উচ্ছেদে যাইনি। সেই নোটিশের কোনো ব্যবস্থা নেননি।’

জমির মালিকের অভিযোগ তিনি কোনো নোটিশ পাননি। তাহলে সাদিক অ্যাগ্রো ভাড়াটিয়া হিসেবে নোটিশ কিভাবে পায়-জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘খালের একটা নীতিমালা আছে। খালের আশপাশের ৩০ ফিটের ভেতরে কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না এ নীতিমালা রয়েছে। জমির মালিক কাগজ দেখিয়েছেন ৪ শতাংশের কিন্তু দখল করেছেন এক বিঘা। আর আমরা উচ্ছেদ করেছি অবৈধ স্থাপনার, জমির মালিককে না। খালের ভেতরের যে অংশ আছে সেটা আমরা উচ্ছেদ করেছি। ’ 

উত্তর সিটি করপোরেশনের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অভিযানে একজন জমির মালিক এসেছিলেন। সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি। আর সাদিক অ্যাগ্রোকে গত ১৮ তারিখ নোটিশ করা হয়েছে যেন খালে বর্জ্য না ফেলে। কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। আমরা খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করছি। এরপর পরবর্তীকালে আমরা খাল পরিষ্কারে অভিযান চালাব।’