তিন শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে
চট্টগ্রামের রাউজনে এক শিশুকে পর্যায়ক্রমে ১১বার বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক আজিজুল মোস্তাফার বিরুদ্ধে। এছাড়াও দুই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষককে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন উত্তেজিত জনতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানী ঈদের ছুটি শেষে এক মাদ্রাসাছাত্র ওই হেফজখানায় না যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে। জিজ্ঞেস করলে, মা ও তার ফুফুকে ঘটনার বিস্তারিত জানায় ওই মাদ্রাসাছাত্র। স্বজনেরা মাদ্রাসায় গেলে জড়ো হতে থাকেন আরও অনেক অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে টেনে হেঁচড়ে বের করে দেওয়া হয় গণপিটুনী। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আনোয়ার হোসেন ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতেই ভিকটিমের চাচা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে আজিজুল মোস্তাফার বিরুদ্ধে বলাৎকারের ঘটনায় মামলা করেন রাউজান থানায়।
ভুক্তভোগীর মা পারভিন (ছদ্মনাম) বলেন, ‘কোরবানীর ঈদের ছুটিতে আমার ছেলে বাড়িতে এসেছিল। ছুটি শেষে আমার ছেলে আর মাদ্রাসায় যেতে চায়নি। পরে ঘটনার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি আমার ভাইদের জানাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিন শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ পেয়েছি। এক শিশুর পরিবার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।’
চুয়েট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জাবেদ মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত আজিজুল মোস্তাফাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়।
রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় দেব শীল জানান, হেফজখানার শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় ভিকটিমের চাচা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে রাউজান থানায় মামলা করেছে। থানায় মামলার পর অভিযুক্ত শিক্ষক আজিজুল মোস্তাফাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।