পাত্রী দেখতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল ভাই-বোনের
পাবনায় পাত্রী দেখতে যাওয়ার পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাই-বোন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চালকসহ আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার ধোপাঘাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- বেড়া পৌর এলাকার শালকিপাড়া মহল্লার রাজকুমার হালদারের ছেলে প্রদীপ হালদার এবং তার মেয়ে শম্পা রানী।
মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেড়া থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সাটি পাবনার দিকে যাচ্ছিল। সিএনজিটি ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে পাবনা সদর উপজেলার ধোপাঘাটা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত এবং অপর ৬ জন সিএনজি যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত অনুরাধা ধর নামের এক শিশু জানায়, নিহতরা তার মাসি ও মামা। পাবনার বেড়ায় তার নানা বাড়ি। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার শিলিমপুর গ্রামে। তারা নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে মামার জন্য পাত্রী দেখতে পাবনা শহরে যাচ্ছিল।
মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ স্টেশনের উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, নিহত প্রদীপ হালদারের বিয়ের জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজন নিয়ে পাবনা শহরে পাত্রী দেখতে যাচ্ছিলেন। আহতদের মধ্যে ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি ৩ জন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।