আনার হত্যায় গ্রেপ্তার ২ আসামিকে আনা হলো ঢাকায়, যা বললেন হারুন

অনলাইন ডেস্ক
২৬ জুন ২০২৪, ১৯:১৮
শেয়ার :
আনার হত্যায় গ্রেপ্তার ২ আসামিকে আনা হলো ঢাকায়, যা বললেন হারুন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে করা মামলার দুই আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাজীকে খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় তাদের ঢাকায় আনা হয়। তার আগে আজ বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)

আজ সন্ধায় আসামিদের নিয়ে রাজধানীর পূর্বাচলের ১৮ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ারে অবতরণের পর সাংবাদিকদের ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে থেকে ফয়সাল, মোস্তাফিজ, জিহাদ কিলিং মিশনে অংশ নেন। মূল ঘাতক ছিলেন শিমুল ভূঁইয়া। বিভিন্ন জায়গায় পলাতক দুই আসামির অবস্থানের তথ্য পাচ্ছিলাম। অবশেষে মঙ্গলবার জানতে পারি তারা খাগড়াছড়ির গহীন পাহাড়ে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ফয়সাল ও মুস্তাফিজ নাম পরিবর্তন করে পলাশ দাস ও শিমুল রায় নাম ধারণ করে ছদ্মবেশে সীতাকুণ্ডের পাথাল কালীমন্দীরে ২৩ দিন ছিলেন। আনার হত্যার পর এই দুই আসামি ১৯ মে বাংলাদেশে আসে। ২০ মে তাদের দুজনকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারা বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল।’

হারুন অর রশীদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আখতারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেপ্তার করাই এখন তাদের মূল লক্ষ্য। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্সকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে, তারাও তাকে ধরার চেষ্টা করছে বলেও তিনি জানা।  

এর আগে দুপুরে খাগড়াছড়ির গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আনার হত্যার দুই আসামি ফয়সাল ও মুস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি ডিবি। অভিযানে নেতৃত্ব দেন হারুন অর রশীদ। 

উল্লেখ্য, এমপি আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে এর আগে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা হলেন শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, সাইদুল করিম মিন্টু ও কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু। এদের মধ্যে শিমুল, তানভীর ও শিলাস্তি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর মিন্টু ও বাবু নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা করেছেন বলেও দাবি পুলিশের।

অন্যদিকে, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জিহাদ হোসেন ওরফে কসাই জিহাদকে। নেপালে আটক হন সিয়াম হোসেন নামের আরও একজন। পরে তাকে নেপাল থেকে ফিরিয়ে এনে গ্রেপ্তার দেখায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।