তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি নারী এমপিদের

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
২৬ জুন ২০২৪, ১৭:৪৬
শেয়ার :
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি নারী এমপিদের

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের সদস্যরা। আজ বুধবার নারী মৈত্রী আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে করনীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ফোরামভুক্ত নারী সংসদ সদস্যরা এ দাবি জানান।

তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য শবনম জাহান শিলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজা সুলতানা-এমপি,(মহিলা আসন-৬), জারা জাবিন মাহবুব-এমপি (মহিলা আসন-৭), মাসুদা সিদ্দিক রোজী-এমপি (মহিলা আসন-৩৪), নাজমা আকতার এমপি (মহিলা আসন-৩৭), অনিমা মুক্তি গোমেজ (মহিলা আসন ২৯), শেখ আনার কলি পুতুল এমপি (মহিলা আসন-৩০), মাহফুজা সুলতানা (মহিলা আসন-৬), আশরাফুন্নেছা (মহিলা আসন-৪৪), কানন আরা বেগম (মহিলা আসন-৪১), লাইলা পারভীন (মহিলা আসন-১৩), সানজিদা খানম (মহিলা আসন-৩২), ফরিদা ইয়ছমীন (মহিলা আসন-৩৫) এবং হাসিনা বারি চৌধুরী (মহিলা আসন-৩১)।

তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন ফোরামের আহ্বায়ক শবনম জাহান শিলা। তিনি বলেন, ‘তামাকের কারণে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এই মৃত্যুর হার কমাতে তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা আইন সংশোধনী পাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বরাবর স্বাক্ষরকৃত চিঠি প্রেরণ করেছি। এছাড়াও আমরা পার্লামেন্টে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি অধিকতর জনমত সৃষ্টির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে তামাক বিরোধী বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছি।’

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের দাবি জানান ফোরামের অন্যান্য সদস্যরাও। তারা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। তরুণদের ধূমপানের অভ্যাস দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয়। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা তামাকবিরোধী আন্দোলনে অনেকাংশে সহায়ক হতে পারে। তামাকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার ও কথা ব্যক্ত করেন তারা।’ 

এছাড়াও ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের প্রতিনিধি মিসেস অ্যাড্রিয়েন পিজাটেলা, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের দক্ষিণ এশীয় কর্মসূচির পরিচালক ড. মাহিন মালিক এবং নারী মৈত্রীর সভাপতি মাসুমা আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা নারী সংসদ সদস্যদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রস্তাব সমর্থন করার জন্য ফোরাম সদস্যদের অনুরোধ জানান।