রাসেলস ভাইপার ধরে লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন দুজন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০২৪, ২০:১১
শেয়ার :
রাসেলস ভাইপার ধরে লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন দুজন

ফরিদপুরে বিষধর রাসেলস ভাইপার জীবন্ত ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ পেয়েছেন দুই ব্যক্তি। আরও একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরা দুজনকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত অফিসে দুজনের হাতে পুরস্কারের অর্থের চেক তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।

পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম ও আজাদ শেখ। শাহজাহান নামের আরও একজনকে পরে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

পুরস্কারের অর্থের চেক পাওয়া আজাদ শেখ বলেন, ‘আমি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। ধন্যবাদ জেলা আওয়ামী লীগ, তাদের কথা রাখার জন্য।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ‘আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী তিন ব্যক্তিকে পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা। আমরা ঘোষণা অনুযায়ী দুজনকে সোমবার রাতে ব্যক্তিগত অফিসে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা দিয়েছি। আর একজনকে আমরা পুরস্কার দেব। সেটা দুই-এক দিনের মধ্যে দিয়ে দেব। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের কথা রেখেছে।’

ইশতিয়াক আরিফ আরও বলেন, ‘মৃত রাসেলস ভাইপার সাপ আনতে পারলে ও পরবর্তীতে জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তবে প্রথমে মৃত রাসেলস ভাইপারের পুরস্কারের কথাটা আমরা একটু ইমোশনাল হয়েই বলেছিলাম। তবে এ ব্যাপারে নানাজনের নানাকথা শুনতে হয় আমাদের, পরবর্তীতে জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণা করেও নানা কথা শুনতে হয় এবং আইনগত সমস্যা আছে বলে জানানো হয়। পরে আমরা উভয় পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এরপর থেকে জীবিত কিংবা মৃত রাসেলস ভাইপারের জন্য কাউকে কোনো পুরস্কার দেওয়া হবে না।’

প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক গত ২০ জুন ঘোষণা করেন, রাসেলস ভাইপার মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে গত ২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগ ওই ঘোষণা থেকে কিছুটা সরে এসে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়া হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হব। তবে জেলা আওয়ামী লীগের এ সংশোধিত ঘোষণাও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থী। এ ঘোষণার পর রাসেলস ভাইপার জীবিত ধরার জন্য তোড়জোর শুরু হয়ে যায় ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে।