‘প্রেমের প্রস্তাবে’ রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার ইসলামপুরে মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে গোপালদী ইলামপুর গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে সাব্বির মিয়া (২০) তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হন সাব্বির। গত ১৯ জুন রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর দাদা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক তার বাবা মা ও চাচারা মিলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাাতালে নিয়ে যান। তখন বাড়িতে ওই ছাত্রী ও তার ছোট ভাই ছিল।
এই সুযোগে গত ২০ জুন সাব্বির কৌশলে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর ওই ছাত্রীর মুখ ও হাত কাপড় দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে সাব্বির পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় সাব্বির বিয়য়টি কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে যান।
পরদিন গত ২১ জুন ওই ছাত্রীর দাদা মারা যান। দাফন কাফন শেষে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরলে ওই ছাত্রী বিষয়টি জানায়।
এদিকে, এ ঘটনা জানাজানি হলে গোপালদী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার আবু সাঈদ ঘটনাটি মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে মামলা না করার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে নিষেধ করেন। এরপর গ্রাম্য সালিস বসে। সালিসে স্থানীয় কাউন্সিলর, সুমন, খলিলসহ ৮/১০ জন অংশ নেন। সেখানে সমাধন না পেয়ে ওই ছাত্রীর বাবা পুলিশের সহযোগিতায় থানায় এসে গতকাল রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
তবে মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করে কাউন্সিলর আবু সাঈদ বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাটি কতটুকু সত্য তা আইন দেখবে।’
ওসি আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি সাব্বিরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অলরেডি অভিযান চালাচ্ছে।’