রাজধানীর বাজারে মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে কাঁচামরিচের
নানা অজুহাতে ঢাকার বাজারে বেড়েই চলেছে কাঁচামরিচের দাম। ছোট জাতের দেশীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। তবে হাইব্রিড মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কেল্লার মোড়, পলাশী, হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন সরবরাহ কম থাকায় কাঁচামরিচের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা থেকে ৪0০ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও এটি ২৪০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বাজারভেদে অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২০ টাকা কমে ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ১০ টাকা কমে ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪০০ টাকা, গরুর বট ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের পাঙাস ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়, কাতল ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০ টাকায়, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, মলা ৪০০ টাকা, কাচকি মাছ ৪০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে এখনো বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। পণ্যের পসরা সাজিয়ে অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ঈদ শেষে এখনো মানুষ রাজধানীতে ফিরছেন। তাই এখনো জমে ওঠেনি বাজার। তাদের আশা, আজ শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রবিবার থেকে বাজারগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করবে।