মেঘনা নদীতে স্ত্রীর সামনে তলিয়ে গেলেন স্বামী
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নামেন মো. জহির ও তার স্ত্রী মোছা. মনিরা। এ সময় স্ত্রীর সামনেই নদীর তীব্র স্রোতে তলিয়ে যান জহির। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনেক খোঁজাখুঁজি করেও জহিরের সন্ধান পায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় শহরের মাদ্রাসা রোড লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ জহিরের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে লঞ্চঘাটের পাশে টিলাবাড়ী মেঘনাপাড়ে ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ জহিরের বাবার নাম মনসুর বেপারী। জহির বরিশাল থেকে এসে চাঁদপুরে ভাড়া বাসায় থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালাতেন। কখনো কখনো লঞ্চঘাটে হকারি করতেন তিনি।
চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইনচার্জ মোসলেম মিয়াজী বলেন, ‘আমরা সকাল সাড়ে ৭টায় খবর পেয়ে ডুবুরি দল নিয়ে নিখোঁজ ব্যাক্তিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করি। কিন্তু নদীর তীব্র স্রোতে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা দুপুর ১২টা পর্যন্ত জহিরের সন্ধান করেও তার খোঁজ পাইনি।’
নিখোঁজ জহিরের ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই সাঁতার জানতেন। এজন্য প্রতিদিন এখানেই গোসল করতেন। আজ তার স্ত্রী মনিরা বেগমসহ গোসল করতে নেমে আর ওঠেনি। আমরা ধারণা করছি, নদীর তীব্র স্রোতে তিনি ডুবে গেছে।’
ঘটনার পর শতশত মানুষ নদীর পাড়ে এসে ভিড় করেন। এ সময় নিখোঁজ জহিরের মা, ভাই, স্ত্রী ও সন্তাদের আহাজারি করতে দেখা যায়।
স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘আমরা সব সময়ই এখানে গোসল করি। কোনো দিন এমন ঘটনা ঘটে নাই।’
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে নিখোঁজ ব্যাক্তির সন্ধানে নৌ পুলিশও কাজ করছে। নিখোঁজ জহির লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাশেই টিলাবাড়ী এলাকায় বসবাস করতেন। এরপরও আমরা আমাদের অভিযান অব্যহত রেখেছি।’