মেয়র লিটনের জন্য দোয়া করায় ইমামকে ‘বেয়াদব’ বললেন মিনু
রাজশাহীতে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার পরিবারের কল্যাণ কামনা করে দীর্ঘ মোনাজাত করায় চটেছেন সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। মোনাজাত শেষে তিনি ইমামের সঙ্গে দেখা করে তাকে ‘বেয়াদব’ বলে তিরস্কার করেছেন।
গত সোমবার সকালে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ শেষে ইমাম মুফতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক দীর্ঘ মোনাজাত করেন।
মুসল্লিরা জানান, ঈদের দুই রাকাত নামাজ আদায়ের পর খুতবার বাইরেও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন ইমাম সাহেব। খুতবা শেষে অনেকটা লম্বা সময় ধরে দোয়া করেন তিনি। এ সময় তিনি সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও তার পরিবার, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করেন। এসব কারণেই ইমামের প্রতি বিরক্ত হন রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমান মিনু।
মোনাজাত শেষ করে ইমামের সঙ্গে দেখা করেন মিনু। ইমামকে তিনি বলেন, ‘ধর্মের দোয়া পড়াবেন। বিএনপি-আওয়ামী লীগের দোয়া পড়াবেন না। বেয়াদব সব!’
এই ঈদগাহে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদও অংশ নিয়েছিলেন। তবে এ ঘটনা তারা জানেন না বলে জানান।
ঈদের নামাজ শেষে ঈদগাহে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিনু বলেন, ‘নামাজে দোয়া হবে মানুষের কল্যাণের জন্য। দলীয় টান টেনে দোয়া করা ঠিক নয়।’ ইমামকে ‘বেয়াদব’ বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে যাব কেন! যদি বলি তাহলে এটা স্লিপ অব টাং।’
তবে ইমাম মুফতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘দোয়া সবার জন্য হয়েছে। ঈদের মাঠে আল্লাহর কাছে চাওয়া-পাওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। কারও সমস্যা হলে তিনি চলে যাবেন, এটা নিয়ম।’
দুই বছর আগেও একই মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে ইমাম দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের কল্যাণ কামনায় দোয়া করেন। এতে মিনু বিরক্ত হয়ে ইমামকে আওয়ামী লীগের দালাল বলে মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন।