নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের বোমা হামলা, নিহত ১৭
গাজা উপত্যকাজুড়ে রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। খবর আনাদোলুর।
আজ মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে আল-রায়ি এবং আল-মাদউন পরিবারের দুটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করেছে মেডিকেল দলগুলো।
বুরেজ শরণার্থী শিবিরে হার্ব পরিবারের বাড়িতে আরেকটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এদিকে রাফাহ এবং দেইর আল-বালাহর পাশাপাশি গাজা শহরের তেল আল-হাওয়া এবং জেইতুন এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
এদিকে আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এমন নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার শিশু এবং ৯ হাজার নারী রয়েছেন।
এছাড়া ২০ হাজারের বেশি নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৮৫ হাজার ৪৫২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অনেক ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলার কারণে অনেক জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো পৌঁছাতে না পারায় এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহ রয়েছে বলেও জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
সাত মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্তুচ্যুত এবং তাদের সকলেই খাদ্য নিরাপত্তাহীন। গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কমেছে প্রায় অর্ধেক।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।