পশ্চিমবঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন, নিহত ৮
শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ যাত্রী। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রেনের পেছন দিকের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হওয়ায় এতো মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটে। বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তারা আটজনের মৃত্যুর তথ্য জানতে পেরেছেন। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে দার্জিলিং পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে মালবাহী একটি ট্রেন ধাক্কা নিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গ্যাসকাটার দিয়ে কেটে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন বের করতে হবে। আহতদের উদ্ধারে কাজ চলছে।’
শিলিগুড়িতে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। তার মাঝে এই দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে। যে লাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগের প্রধান লাইন সেটি। ফলে আপাতত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে রওনা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। নিচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে আসার পর পেছন থেকে একটি মালবাহী ট্রেন ওই ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। এতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন থেকে পরপর দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশে ছিটকে পড়ে।’
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার) উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি লিখেছেন, ‘এইমাত্র দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা মেরেছে শুনেছি। জেলা প্রশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন থেকে ছিটকে যাওয়া কামরা দুটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। একটি কামরা লাইন থেকে ওপরের দিকে উঠে রয়েছে। তার নিচে ঢুকে রয়েছে মালবাহী গাড়ির কামরা। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলমন্ত্রী এক্স (সাবেক টুইটার) জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে ১০ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে। যারা গুরুতর আহত তাদের আড়াই লাখ এবং যারা কম আহত হয়েছেন তাদের ৫০ হাজার করে টাকা পাবেন।