‘এক রাতের ব্যবধানে এত টাকা বাড়বে তা অবিশ্বাস্য’
আমদানি-রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে রাতের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আদার দাম মানভেদে বেড়েছে কেজিতে ১০০-১২০ টাকা। আর দুই দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। পণ্য দুটির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্মআয়ের মানুষেরা।
ক্রেতারা বলছে, কোরবানি ঈদের আগে মসলা পণ্যর দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু এক রাতের ব্যবধানে এত টাকা বাড়বে তা অবিশ্বাস্য।
আজ শনিবার বিকেল ৩টায় হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল শুক্রবার প্রতিকেজি আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আজ শনিবার সেই আদা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে। এতে করে কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়েছে। আর দুই দিন আগে কাঁচা মরিচ মানভেদে ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ সেই কাঁচা মরিচ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে আদা ও কাঁচা মরিচ কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘কোরবানি ঈদের সময় সব পণ্যের দাম একটু বাড়ে। কিন্তু কেজিতে ১২০ টাকা? এটা আশ্চর্যজনক বিষয়। কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছে। আমি দুই দিন আগে ১৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ সেই কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকা কেজি দরে নিলাম। ’
অপর এক ক্রেতা মাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের সময় পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ সবধরনের মসলার দাম বাড়ে। কিন্তু কোনো পণ্যের দাম একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা বাড়েনি। আমার জীবনের এটাই প্রথম দেখলাম যে এক রাতের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা। ’
আরেক ক্রেতা বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার প্রতিকেজি আদা ২০০ টাকা দরে কিনেছে। আর আজ আমি বাজারে এসে দেখি ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে ৫০০ গ্রামের জায়গায় ৮০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রামে আদা কিনলাম।’
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব জানান, গতকাল শুক্রবার থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়েছে। আর একদিন পর কোরবানির ঈদ, তাই কৃষকেরা ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলছে না। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি আজ সকালে পাঁচবিবি হাট থেকে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ কিনেছি ১৭০ টাকা কেজি দরে। আর বিক্রি করছি ১৮০ টাকা কেজি দরে। এতে করে পরিবহন খরচ বাদ দিয়ে দুই থেকে তিন টাকা লাভ থাকে। এরপর আবার প্রতি মণে দুই এক কেজি নষ্ট হয়ে যায় কাঁচা মরিচ।’
হিলি বাজারের আদা বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, ‘গতকাল থেকে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়েছে। তাই হয়তো যেসব আমদানিকারকের কাছে আদা মজুদ আছে, তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন। গত বৃহস্পতিবার পাইকারি মানভেদে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে কিনে ২০০ টাকায় বিক্রি করি। আর গতকাল প্রতিকেজি আদা কিনতেই হয়েছে মানভেদে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। তাই আজ শনিবার বিক্রি করছি ৩২০ টাকা কেজি দরে। আমদানিকারকদের কাছ থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করি। যে দামে কিনি তার চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি।’