বিজ্ঞাপন বিতর্কে জীবন-শিমুলকে আইনি নোটিশ
কোমলপানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলার বিজ্ঞাপন নিয়ে সমালোচনার ঝড় যেন থামছেই না। এবার এই ইস্যুতে অভিনয়শিল্পী শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ময়মনসিংহের আইনজীবী এম. আহসান উদ্দিন। গতকাল শুক্রবার রাতে তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।
জানান, গেল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের বলাশপুর এলাকার বাসিন্দা সাকিব আহমেদ তুহিনের পক্ষে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়- কোকাকোলার বিতর্কিত বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে মানবতা বিরোধীদের পক্ষাবলম্বন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মাকে সংবাদ সম্মেলন করে এই বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্য দিতে হবে। অন্যথায় কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তাও জানাতে হবে।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
নোটিশ দাতা সাকিব আহমেদ তুহিন বলেন, ‘শান্তিকামী ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে গত ৬ মে সারা দেশে একযোগে ফিলিস্তিনের পক্ষে পতাকা উত্তোলন করে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এ কারণে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ফিলিস্তিনের পক্ষে সহমর্মী হয়ে ইসরায়েলের সমর্থন পুষ্ট ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোমলপানীয় কোকাকোলা পণ্য বয়কট করেছে। এতে কোকাকোলা বিক্রি তলানিতে নেমে আসে। এমন পরিস্থিতিতে কোকাকোলার ৬০ সেকেন্ডের একটি প্রমোশনাল ভিডিও তৈরি করে স্যোস্যাল মিডিয়াসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।’
এদিকে বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়, কোককে সবাই যে দেশের পণ্য মনে করছে, আসলে সেই দেশের পণ্য নয় এটি। মানুষ সঠিক তথ্য না জেনেই এটি বয়কটের ডাক দিয়েছে। ১৯০টি দেশের মানুষ কোক খায়। এমনকি ফিলিস্তিনে কোকাকোলার ফ্যাক্টরি রয়েছে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞাপনটিতে। এটি প্রচারে আসার পরই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন এতে অভিনয় করা শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মা।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
যদিও পরবর্তীতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সামাজিকমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন জীবন ও শিমুল। অভিনেতা-নির্মাতা
জীবন লিখেছেন, ‘বিজ্ঞাপনটি প্রচার হবার পর থেকে আমি আপনাদের অনেক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছি এবং আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আবারও বলতে চাই কাজটি শুধুই আমার পেশাগত জীবনের একটি অংশমাত্র। ব্যক্তিগত জীবনে আমি সবসময় মানবাধিকার বিরোধী যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আপনাদের অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি। এখানে আমি কোথাও ইসরায়েলের পক্ষ নিইনি এবং আমি কখনোই ইসরায়েলের পক্ষে নই। আমার হৃদয় সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং মানবতার পাশে আছে, থাকবে।’
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’