৫০-৬০ কেজি ওজনের গরুর চাহিদা বেশি

মো. মিজানুর রহমান, ডেমরা (ঢাকা)
১৩ জুন ২০২৪, ২২:১৩
শেয়ার :
৫০-৬০ কেজি ওজনের গরুর চাহিদা বেশি

পশু উঠলেও এখনো জমে ওঠেনি রাজধানীর ডেমরার ৮৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাট ও আমুলিয়া মডেল টাউন অস্থায়ী পশুর হাট। হাটে ক্রেতারা বেশি খুঁজছেন ৫০ থেকে ৬০ কেজি ওজনের দেশি জাতের গরু।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটে গরু এসেছে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার। আর আমুলিয়া মডেল টাউন অস্থায়ী পশুর হাটেও ৩ হাজারের বেশি গরু উঠেছে।

টাউন হলের অস্থায়ী হাটের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ‘এ বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভালো দামে বিক্রির আশায় প্রচুর গরু আসবে ডেমরায়। গত রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে মডেল টাউন হাটটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

জানা যায়, এ বছরও নদীপথে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বেরা, করসালিকা, শাহজাদপুর, ফরিদপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে গরু আসছে। নিরাপদে ও কম খরচে গরু আনা যায় বলে নদীপথেই গরু আনতে পাইকারদের আগ্রহ বেশি। তবে ট্রাকযোগেও পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, বনগ্রাম ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু আসছে ডেমরায়। 

সারুলিয়া পশুর হাটে দেশি জাতের দুই দাঁতের ৫০ থেকে ৬০ কেজি ওজনের ছোট গরুর চাহিদা বেশি দেখা গেছে। এই আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ হাজার টাকায়। আর বড় গরুর দাম হাকানো হচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা।

সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটের পরিচালক সুমন খাঁন বলেন, ‘আজ সারুলিয়া পশুর হাটে সাপ্তাহিক হাট ছিল বলে ৫৫টি গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। এ বছর সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকার গরু উঠেছে হাটে।’

সারুলিয়া  হাটে পাবনা থেকে আসা মো. সোলায়মান বেপারি জানান, এ বছর ৩০টি গরু কিনেছেন তিনি। গত মঙ্গলবার গরুর রাখার জায়গা পেয়েছেন। তার গরুর সর্বনিম্ন দাম দেড় লাখ টাকা। আর সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ লাখ টাকা। গরুপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজর টাকা লাভ হবে বলে আশা করেন তিনি। 

আমুলিয়া হাটে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা এলাকা থেকে আসা আলী আহম্মেদ বেপারি বলেন, ‘ডেমরায় দুই হাটেই আমার গরু আছে ১০০টি। হাটের নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই ভালো। তাছাড়া তাদের গরু বিক্রির টাকা হাট ইজারাদারের কাছেও রাখা যাবে। এমনকি সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বিক্রির সব টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো যাবে।’

এ বিষয়ে ডেমরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ডেমরায় পশুর হাট দুটির জন্য প্রশাসনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে আগেই। এখানে কোনো ধরনের সমস্যা আপাতত নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে হাট ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে করতে জরুরি দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’