যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিমান চলাচল সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ মার্কিন কর্মকর্তার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) অ্যাটাশে ড্যানিয়েল জ্যাকব গত জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ঢাকা সফর করেছেন। সফরকালে তিনি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি ফ্লাইটের লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে এই ড্যানিয়েল জ্যাকবের এই বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সরাসরি ফ্লাইট অর্জনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
বৈঠকে ড্যানিয়েল জ্যাকব জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ‘ক্যাটাগরি ১’ নিরাপত্তা রেটিং অর্জন করতে হলে, যুক্তরাষ্ট্রের এফএএ-এর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাভিয়েশন সেফটি অ্যাসেসমেন্ট (আইএএসএ) বা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিরাপত্তা মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হবে। ‘ক্যাটাগরি ১’ রেটিং নিশ্চিত করবে যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) গুরুত্বপূর্ণ মান এবং প্রস্তাবিত অনুশীলন মেনে চলে। লিংক: https://www.faa.gov/about/initiatives/iasa
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সিএএবি-এর অনুরোধে এফএএ ‘ক্যাটাগরি ১’ রেটিংয়ের জন্য আইএএসএ পরিচালনা করবে। সিএএবি এখনো আইএএসএ বা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিরাপত্তা মূল্যায়নের জন্য এফএএ-কে অনুরোধ করেনি।
সিএএবি যদি ‘ক্যাটাগরি ১’ রেটিং অর্জন করে, তার পরের ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ) একটি পৃথক মূল্যায়ন এবং পরিদর্শন পরিচালনা করবে। এই মূল্যায়ন নির্ধারণ করবে যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইটের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার শর্ত পূরণ করে কি না।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে এফএএ এবং টিএসএ, সিএএবি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা অর্জনের জন্য বিনামূল্যে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিনামূল্যে বিমানবন্দর স্ক্রিনিং সরঞ্জাম সরবরাহ করছে এবং বাংলাদেশি বিমান কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে যাতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান পূরণ করতে পারে।