ভিজিএফের চালের ভাগ না দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২৪, ১৬:৫৬
শেয়ার :
ভিজিএফের চালের ভাগ না দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর

ভিজিএফ চালের ভাগ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে মারধর ও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে বিশেষ ভিজিএফের চাল বিতরণের জন্য ইউনিয়নের ২ হাজার ২৪৯ জন দুস্থ মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর নাম ব্যবহার করে বরাদ্দের ৫০ শতাংশ চাল দাবি করেন। চেয়ারম্যান তা দিতে অস্বীকার করলে দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি তাকে মারধর ও তার কার্যালয়ে ভাঙচুর করেন।

ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশরা জানিয়েছে, আজ হঠাৎ স্থানীয় এমপির অনুসারীরা চেয়ারম্যানের রুমে ঢুকে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা চেয়ার দিয়ে টেবিলের কাঁচ ভেঙে ফেলেন ও অন্যান্য চেয়ার ভাঙচুর করেন। তারা চেয়ারম্যানকে মারধর করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের চিৎকারে সকলে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে দ্রুত চলে যান। পরে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।’

আহত চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১০ কেজি করে চালের জন্য ২ হাজার ২৪৯ জনের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ সব দুস্থ ও গরীবদের চালের মোট অংশের অর্ধেক ভাগ এমপিকে দিতে হবে। তাদের এমন দাবি আমি প্রত্যাখ্যান করায় এমপির অনুসারী আতিক মাস্টার, সিরাজ, রানা, ওয়াজেদ আলী, আরিফ, জীবন গাজী, ইমরান, রাজীবসহ ১৫/১৬ জন আমার ওপর হামলা চালিয়েছেন।’

এদিকে, চেয়ারম্যান দুলালের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। আজ দুপুর ১২টা থেকে পৌঁনে ১টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলে। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব, বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম খাঁন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে, আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।