মেয়েকে বাল্যবিয়ে দিতে নেওয়া কৌশলে আটকে গেল তালাক

বরিশাল ব্যুরো
১২ জুন ২০২৪, ২১:৩৩
শেয়ার :
মেয়েকে বাল্যবিয়ে দিতে নেওয়া কৌশলে আটকে গেল তালাক

বিয়ের ১১ মাস পর স্ত্রীর দেওয়া তালাকের কাগজ হাতে পান মোহাম্মদ শাকিল। তালাকনামায় স্ত্রী জায়গায় ছিল স্ত্রীর বড় বোন সুরাইয়ার নাম ও পরিচয়। তিনি কাগজপত্রে বিয়ে করেছিলেন সুরাইয়াকে। কিন্তু সংসার করেছেন তার ছোট বোন আয়েশার সঙ্গে।

এ ঘটনা ঘটেছে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে। কাগজে-কলমে যার সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়েছে, সেই সুরাইয়ার রয়েছে স্বামী ও ২ সন্তান।

সংসার করলেও আয়েশার সঙ্গে তো বিয়েই হয়নি। এমন গোলমেলে পরিস্থিতে তালাকের কাগজ গ্রহণ করতে রাজি নন শাকিল।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ শাকিল বলেন, আয়েশাকে বিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। তার বদলে বিবাহ সম্পন্ন হয় সুরাইয়ার সঙ্গে। তবে ঘর-সংসার করেছি আয়েশার সঙ্গে। আয়েশা আমার সংসার ছেড়ে চলে গেছে। এখন সুরাইয়া আমাকে তালাকনাম পাঠিয়েছেন। ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতি করেছেন। পরিবারসহ আমার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে আমি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।

শাকিলের বাবা জয়নাল খান বলেন, বিবাহের সময় কাজীকে যে জন্মনিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ওনি তা দেখেই লিখেছেন। আমি ছেলের বউকে তার বাড়ি থেকে কয়েকবার আনতে গেলেও তারা দেয়নি। পরে কাবিননামা তুলে দেখি ছেলের বউয়ের নাম সুরাইয়া লেখা আছে।

কনের মা বিবি হাজেরা বলেন, কাবিনে সুরাইয়া নাম লেখা হয়েছে। যে কাবিননামা করেছেন তার কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে সুরাইয়া বলেন, আমার সংসারে দুই সন্তান আছে। কাবিন আয়েশার নামে করার কথা থাকলেও তা আমার নামে করা হয়েছে। কাজীর কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

বিয়ের কাজী জানান, তাকে যা লিখতে বলা হয়েছে, তিনি তাই লিখেছেন। এখানে তার কোনো দোষ নেই।

প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ১৮ না হওয়ায় বিয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। বল্যবিয়ের আইন এড়াতে কাজীর পরামর্শে বড় মেয়ে সুরাইয়ার জন্মনিবন্ধন দিয়ে ছোট মেয়ের বিয়ে পড়ানো হয়। এতে সায় ছিল পরিবারেরও।