সদুত্তর দিতে না পারলে আটক মিন্টুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা: হারুন

অনলাইন ডেস্ক
১২ জুন ২০২৪, ২০:৩৮
শেয়ার :
সদুত্তর দিতে না পারলে আটক মিন্টুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা: হারুন

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাবাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তবে তিনি সদুত্তর দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিব) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্যই এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা মিন্টুকে ডেকেছি। আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি তিনি যথাযথভাবে দিতে পারেন, তবেই চলে যাবেন। তিনি যদি যথাযথ উত্তর না দিতে পারেন, তবে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের ধারাবাহিকতায় যা করা লাগে, করবেন।’

এই হত্যাকাণ্ডে অনেক আগেই মিন্টুর নাম আসলেও তাকে ডাকতে এত দেরি হলো কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আছে। যখন যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবেন। আপনারা জানেন, আমরা কাউকে হয়রানি করি না এবং কেউ অপরাধী হয়ে থাকলে তাকে পালানোর সুযোগও দেই না। আমি আগেই বলেছি তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

এই ঘটনায় কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘যখন কাউকে নিয়ে আসা হয় তখন কিছু তথ্য উপাত্ত তো থাকেই। তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আমরা নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে আমাদের কাছে অকপটে স্বীকার করেছে এ ঘটনায় মূল কিলার শিমুল ভুঁইয়ার সঙ্গে ভাঙ্গাতে (ফরিদপুরের ভাঙ্গা) সে মিটিং করেছে এবং তিনি সেখানে মৃত ব্যক্তির ছবি দেখিয়েছেন। আমরা পরবর্তীতে তাকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করলাম যে, আপনারা ছবিটা কাকে দেখালেন? তখন তিনি আরেকজন নেতার কথা বলেছেন। তাকে আরও জিজ্ঞসাবাদ করা হয়েছিল। তার মোবাইল ফোনগুলো কোথায়? সেও বলেছে সেগুলো আরেক নেতার কাছে।’

তিনি বলেন, ‘বাবু তখন গাড়িতে বসে একজন কিলারের সঙ্গে মিটিং করেছে। গত ১৬-১৭ মে পরিকল্পনা করেছে যখন বাংলাদেশের পুলিশ, ভারতীয় পুলিশ একজন জনপ্রিয় এমপির নিখোঁজে উদ্বিগ্ন। এ ঘটনায় মূল কিলার শিমুল ভুঁইয়া হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর গত ১৫ মে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর তারা আসলে ১৬ মে চলে যান ভাঙ্গায়। সেখানে তারা মিটিং করেন।’