শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ৪ ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করলেন নারী

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
১১ জুন ২০২৪, ১৯:৩৫
শেয়ার :
শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ৪ ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করলেন নারী

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার ছাত্রীকে ধারাল ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন এক নারী। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্রী জান্নাতি আক্তার ফাতেমা (২২)। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চার ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি।  

ছুরিকাঘাতে আহত চার ছাত্রী হলো সেতু খাতুন, মিতু আক্তার, রাবেয়া খাতুন ও সিমা আক্তার। তারা সবাই বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ছুরির আঘাতে সেতুর বাম হাত, মিতুর পিঠ ও রাবেয়ার দুই পা ও মাথায় জখম হয়। এ ছাড়া আহত সিমা আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা জান্নাতিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে ও ইসবপুর গ্রামের আশিক মিয়ার স্ত্রী।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা জানান, প্রতি দিনের মতো বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ক্লাস চলছিল। ক্লাস চলার ফাঁকে কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে গল্প করছিল। এ সময় হঠাৎ করে জান্নাতি বিদ্যালয়ে ঢুকে হাতে থাকা ধারাল একটি ছুরি দিয়ে ছাত্রীদের আঘাত করেন। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্য ছাত্রীসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই নারীকে আটক করেন। 

এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রনজু মিয়া বলেন, ‘জান্নাতি আমার এলাকার সন্তান। সে একজন মানসিক রোগী। দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সে প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার কারণে জান্নাতি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।’

জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয় চলাকালীন জান্নাতি নামের মেয়েটি হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কয়েকজন ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে।’

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় তার কাছে একটি দেশীয় ধারাল একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। কেন কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেটি জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আহতদের দেখতে হাসপাতালে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওছার হাবীব, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন। তারা জানান, কী কারণে ঘটনা ঘটেছে, এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।