কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিকে উৎসাহ দেবে: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ ও সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ আহমেদের যদি এত সম্পদ হয়, তাহলে সরকারের কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের সম্পদ কী পরিমাণ আছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বৈধপথে রোজগার করা টাকার ৩০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। এটা তো ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতিকে উৎসাহ দেওয়া হলো।’
আজ সোমবার রাজধানীর হাতিরপুলে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ কথা বলেন।
বাজেটের মূল লক্ষ্য ধরা হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমত মূল্যস্ফীতির হিসেবেই রয়েছে ঘাপলা। সরকারিভাবে মূল্যস্ফীতি বলা হচ্ছে ৯ শতাংশের বেশি। কিন্তু বিআইডিএসের হিসাব বলছে মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা প্রস্তাবিত বাজেটে অনুপস্থিত।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার তার ক্ষমতার সহযোগী আমলা ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বাজেটকেও ব্যবহার করবে। তাদের দুর্নীতি লুটপাটের পথ অবাধ করবে এবং জনগণের সমস্যা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকবে এটা এই সরকারের চরিত্র নির্দেশক। ফলে জনগণের স্বার্থে বাজেট প্রণয়ন করতে হলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনবান্ধব সরকার দরকার। গণসংহতি আন্দোলন সেই লড়াই এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা এই কাজে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।’
লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?