ই-জিপি বাস্তবায়নে কমেছে সরকারি ক্রয়ের লিড টাইম
ইলেকট্রনিক গর্ভমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বাস্তবায়নের ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় কমে এসেছে। এ ইলেকট্রনিক সিস্টেমটি কার্বন নির্গমন এবং দেশে ভ্রমণের সময় কমানোর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায়ও সহায়ক হয়েছে।
আজ সোমবার বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আকনুর রহমান বিপিপিএ’র কার্যক্রম এবং ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতা কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার ব্যবস্থাপনা করেছে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত থেকে ক্রয় বিষয়ে আলোচনা করেন বিপিপিএ’র উপ-পরিচালক আফরোজা পারভীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ৭০ জন অংশগ্রহণকারী, যার মধ্যে ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধি, দরদাতা, ব্যাংক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ড. রহমান ১৯৯৯ সাল থেকে বিপিপিএ’র সংস্কার যাত্রা এবং সরকারী ক্রয়ের জন্য আইনি কাঠামোর বিষয়ে বিশদ বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ‘ই-জিপি ক্রয় প্রক্রিয়া ও চুক্তি ব্যবস্থাপনা সহজতর করেছে। সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় ১০০ দিন থেকে কমে ৫৭ দিনে এসেছে।’
প্রায় ৯৬ শতাংশ চুক্তি প্রদানের বিজ্ঞপ্তি দরপত্র বৈধতার প্রাথমিক মেয়াদের মধ্যে জারি করা হয়। ১০০ শতাংশ দরপত্র বিজ্ঞপ্তি এবং চুক্তি প্রদানের বিজ্ঞপ্তি ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশিত হয়। ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে বছরে ৬০০ মিলিয়ন ডলার সঞ্চয় হচ্ছে। দরদাতাদের ভ্রমণের দূরত্ব ৪৯.৭ মিলিয়ন কিলোমিটার কমেছে, ১ হাজার ৫৩ মিলিয়ন পৃষ্ঠার কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং কার্বন নির্গমন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৯ টন কমেছে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং কর্মকর্তারা তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়াও, গতকাল সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় অনুরূপ একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?