‘দেশে এত মন্ত্রণালয় থাকার দরকার নেই’

অনলাইন ডেস্ক
১০ জুন ২০২৪, ১৮:৩৭
শেয়ার :
‘দেশে এত মন্ত্রণালয় থাকার দরকার নেই’

দেশে এত মন্ত্রণালয় থাকার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত বাজেট আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্যয় সাশ্রয় নিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দরকার আছে কি? আমার তা মনে হয় না। সরকার যদি একটু নির্মোহভাবে চিন্তা করে, দেশে এত মন্ত্রণালয় থাকার দরকার নেই। যুক্তরাষ্ট্রে ১১টি মন্ত্রণালয়, অথচ আমাদের এখানে ৫০ থেকে ৬০টি।’

তিনি বলেন, ‘সুদহারের নয়-ছয়ের (ঋণের সুদ ৯ শতাংশ ও আমানতের সুদ ৬ শতাংশ) বেড়াজাল নীতি দিয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে ব্যাংক খাতের দুর্বলতা আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করেছি। সমস্যা এক দিনে তৈরি হয়নি, তাই সমাধানও এক দিনে হবে না।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমানো মুদ্রানীতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়। মূল্যস্ফীতি কমানো বাজেটের বিষয় নয়, যদিও বাজেট সেখানে সহযোগী ভূমিকা পালন করতে পারে। গত বছরের তুলনায় এ বাজেট সংকোচনমুখী হয়েছে; এখন সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি কার্যকর হলে মূল্যস্ফীতি কমবে। সুদের হার দেরিতে বাজারভিত্তিক করার কারণে মূল্যস্ফীতির চাপও কমবে দেরিতে ‘

সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে সভায় উপস্থিত সংসদ সদস্য (এমপি), নোয়াব সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদের উদ্দেশে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আজাদ ভাইদের জন্য এটা সুখবর নয়। তবে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এটা গ্রহণ করতে হবে।’

আহসান এইচ মনসেুর বলেন, ‘মুদ্রা বিনিময় হার বর্তমানে যেখানে আছে, খুব সম্ভবত আগামী কয়েক মাস সেখানেই থাকবে। সেটা যদি থাকে এবং সুদের হার যেভাবে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে, তা যদি থাকে অর্থাৎ কোনো হস্তক্ষেপ যদি না করা হয়, তাহলে অন্য দেশে মূল্যস্ফীতি কমার যে চিত্র দেখা গেছে, আমাদের দেশেও তাই দেখা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘তারপরও জিনিসপত্রের দাম কমবে না, তবে মূল্যবৃদ্ধির হার কমবে। সরকার যদি বুঝে কাজ করে, তাহলে আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে আমরা তা আশা করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি ১০ থেকে কমিয়ে ৫ থেকে ৬ বা সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা। এটা খুব কঠিন বিষয় নয়, ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যেই সম্ভব।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আরেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।