মহাসড়ক অবরোধ করে জানাজা আদায়
নিরাপদ সড়কের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জানাজা আদায় করেছেন বিক্ষুদ্ধ জনতা। আজ সোমবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, গত ১ জুন রাতে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে ভাড়া দেওয়ার সময় পেছন থেকে অপর একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে তোফায়েল আকন্দ।আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গতকাল রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। ওই দিন রাতেই তোফায়েলের জানাজা আজ সোমবার সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হবে বলে ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়া গত কয়েক দিনে একই বাসস্ট্যান্ডে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।
অপরদিকে, আজ সকালে সাইনবোর্ড এলাকায় ফের ইমাম পরিবহন ও পণ্যবাহী একটি পিকআপ ভ্যানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মহাসড়ক বন্ধ রাখে স্থানীয়রা।পূর্ব নির্ধারিত জানাজায় আসা মুসল্লি ও স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতাও নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়ে মহাসড়ক অবরোধে অংশ নেন। এ সময় তারা মহাসড়কের উভয়পাশে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
খবর পেয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহাসড়কের কার্পেটিংয়ে পিচ ডালাইয়ের সমস্যা দ্রুত সমাধান ও স্পিড বেকার দেওয়ার আশ্বাস দিলে নিহত তোফায়েল আহমেদের জানাজা মহাসড়কে আদায় করে অবরোধ তুলে নিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।
দুই ঘণ্টার অধিক সময় মহাসড়ক অবরোধ থাকায় বন্ধ থাকে যান চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।
এ বিষয়ে স্থানীয় আরিফুল হক এরশাদ বলেন, ‘মহাসড়ক থেকে অপরিকল্পিত পিচ ঢালাই সরিয়ে না নিলে লাগাতার মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে। গত চার মাস ধরে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। অপরিকল্পিত অতিরিক্ত পিচ দিয়ে ঢালাইয়ের ফলে বাস-ট্রাক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলে ও বৃষ্টি হলেই এ স্থানটির পিচ পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় পথচারীসহ যানবাহন।’
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় গতিরোধক স্থাপনের জন্য সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি তা করে দেবেন।