‘মায়ের কাঁধে সন্তানের লাশ বড়ই ভারী’
ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের গ্রামের বাড়ি চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের এলাকার পরিবেশ।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় স্থানীয় ঈদগাহ্ মাঠে জানাজায় অংশ নেন হাজারও মানুষ। নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মনিরুল ওই গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুউদ্দিন মাস্টারের ৩ ছেলের মধ্যে তিনি ছোট ছেলে।
এর আগে, ভোরে নিহত মনিরুলের মরদেহ আটপাড়া উপজেলার শ্বরমশিয়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মনিরুলের স্ত্রী ও মা বোনেরা। তাকে এক নজর দেখতে ভিড় জামায় মনিরুলের বাড়িতে।
নিহত মনিরুলের মা দেলোয়ারা খাতুনের ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে আহাজারী করে বলেন, ‘মায়ের কাঁধে সন্তানের লাশ বড়ই ভারী। আল্লাহ তার বিচার করবেন।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী বলেন, ‘আমার স্বামীরে ফিরিয়ে দাও। ’
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউছারবে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন মনিরুলের স্বজন ও এলাকাবাসীরা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ পেয়ে পুলিশে যোগদান করেন মনিরুল। দুই বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। পুলিশ কনস্টেবল মনিরুলের এক বছর বয়সী তাহারা হক তাকি নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে আটাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, ‘পরিবারটির পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ’