গণতান্ত্রিক চেতনায় জনগণ ভোটমুখী হবে, আশা সিইসির
সুশাসনের বিষয় নিয়ে জনগণকে উপলব্ধি করাতে হবে, এতে করে গণতান্ত্রিক চেতনা উপলব্ধি করে জনগণ ভোটমুখী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া ১৯ উপজেলায় ভোট নিয়ে আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত সংবাদিকেরা সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করেন ‘নির্বাচন নিয়ে ইসি কতটা সন্তুষ্ট?’
এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির বিষয় না। চট করে বলতে পারবো না। আমরা হতাহতের খবর পাইনি। ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি এমনটা হয়নি। সেদিক থেকে এটা ইতিবাচক। সেদিক থেকে আমরা সন্তুষ্ট বোধ করছি। ভোটার পড়ার সংখ্যা ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ যদি হতো তাহলে আপনাদের মতো আমরাও সন্তুষ্ট হতাম। আশা করি মানুষ আগামীতে আরও সচেতন হবে এবং সুশাসনের বিষয় নিয়ে আমাদের জনগণকে উপলব্ধি করাতে হবে। সুশাসনের যে গণতান্ত্রিক চেতনা, তারাও হয়তো সেটা উপলব্ধি করে ভোটমুখী হবেন।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে আরেকটি ধাপ বেড়েছে। আজ পঞ্চম ধাপে ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হলো। ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে আজ পর্যন্ত ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন করলাম। এবার প্রতিটি জেলায় তিনটি বা চারটি ধাপে হয়েছে। এজন্য প্রশাসনে কর্মকর্তাদের জন্য সহজ হয়েছে। ২৬টি উপজেলা নির্বাচন বাকি আছে। এর মধ্যে কয়েকটি এখনো মেয়াদপূর্তি হয়নি। কয়েকটি আদালতে নির্দেশনায় স্থগিত রেখেছি। যথাসময়ে সেগুলো করবো। তবে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এক হাজার ১৮০ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি কেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি। সেদিক থেকে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। কাজেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না কত ভোট পড়েছে। আজকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন পোলিং অফিসার। চারজন আহত হয়েছেন। আজকে ভোটার ছিল ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। ’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সিইসি বলেন, ‘কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই থাকে। অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। এগুলো বাস্তবতা। এগুলো থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি। আমার মতে সার্বিকভাবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশের যে ভূমিকা তা প্রশংসনীয়। আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করছেন। রাজনৈতিক সদিচ্ছাও ছিল খুব ইতিবাচক।’
ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে তো ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়নি। যখন রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়, তখন ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে সেদিক থেকে এটি একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে। আর ভোটারদের কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রার্থীর। প্রার্থীরা তাদের কাছে আবেদন জানাতে পারে। এতে ভোটাররা কতটুকু সাড়া দেবে, এটা তাদের ওপর নির্ভর করে। তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তারা সেটা বিবেচনা করতে পারে। তবে আমাদের জন্য সেটা বিবেচ্য নয়। আমাদের জন্য বিবেচ্য হচ্ছে ভোটটা যেন শান্তিপূর্ণভাবে, সুষ্ঠুভাবে হয় এবং ভোটার যারা তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এখন যদি তারা ওখানে জোর করে ভোট দিয়ে থাকে তাহলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। সেই দিকটা আমরা বিশেষ করে জোর দিয়েছি। কোনো কিছুই স্থির থাকে না। আশাকরি এটা ইম্প্রুভ হবে।’