আওয়ামী লীগ নেতা বাবু ৭ দিনের রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক
০৯ জুন ২০২৪, ১৬:২৮
শেয়ার :
আওয়ামী লীগ নেতা বাবু ৭ দিনের রিমান্ডে

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

আজ কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। আসামিরপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই মামলায় শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুইঁয়া ও শিলাস্তি রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

নিহত আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলা করেন। মামলায় ডরিন উল্লেখ বলেন, ‘মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় (ন্যাম ভবন) আমরা সপরিবারে বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। গত ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।’

এজাহারে ডরিন উল্লেখ করেন, ‘গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।’