‘এটা কীভাবে হয়ে গেল, আমি জানি না’

অনলাইন ডেস্ক
০৯ জুন ২০২৪, ১৫:৫০
শেয়ার :
‘এটা কীভাবে হয়ে গেল, আমি জানি না’

রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মী মনিরুল হককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল কাওছার আলী ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত’ ছিলেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।  

আজ রবিবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে বিরোধ ছিল—এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কাওছারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, কিন্তু বিরোধের কোনো তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অভিযুক্ত কাওছারের গত এক-দুই মাসের ডিউটির রেকর্ড দেখেছি। রেকর্ডে কাওছার যথাযথভাবেই ডিউটি করেছে।’

ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গুলি করেই তিনি হতভম্ব। এই কারণে বারবার বলছিলেন, ‘‘এটা কীভাবে হয়ে গেল, আমি জানি না।’’ যে কারণে ঘটনা ঘটানোর পরও অস্ত্র রেখে কনস্টেবল কাওছার সেখানে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। কারণ তিনি স্ট্রেসটা নিতে পারছিলেন না। ঘটনার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন হয়তো কত বড় অন্যায় ও অমানবিক কাজ করে ফেলেছেন। হয়তো এক-দুদিন গেলে বোঝা যাবে গুলি করার কারণ।’

অতিরিক্ত কাজের চাপে কনস্টেবল কাওছার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ বলেন, ‘না, ডিউটির কারণে কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। আর এখন কোথাও ডিউটির অতিরিক্ত চাপ নেই। স্বাভাবিকভাবেই ডিউটি করছেন সবাই।’

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল হক। এ ঘটনায় কাওছারকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ।

পুলিশ কনস্টেবল কাওছারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের দাড়েরপাড় গ্রামে। বাবার নাম হায়াত আলী। আর মনিরুলের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুরে।