‘শালা নাটক করতাসে’, সহকর্মীকে হত্যার পর কনস্টেবল কাউসার
রাজধানীর বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সিকিউরিটির দায়িত্ব থাকা পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল কে হত্যা করেছে একই দায়িত্বে থাকা আরেক পুলিশ কনস্টেবল কাউসার। এছাড়া এ ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সহকর্মী মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার পর কাউসার ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটক এসে দাঁড়ান। তখন প্রধান ফটকের কাছে দুই থেকে তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন। তারা গুলির শব্দ শুনতে পেলেও তখন ধারণা করতে পারিনি যে কাউসার মনিরুলকে গুলি করে এসেছে। তখন কাউসারকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের এক নিরাপত্তার রক্ষী জিজ্ঞেস করেন, ‘মনিরুল কেন রাস্তায় পড়ে রয়েছে।’ তখন মনিরুলের সামনেই দাড়িয়ে ছিলেন কাওসার। তখন সে বলে- ‘কিছুই হয়নি, শালা এমনি নাটক করতাছে।’
হত্যার পর নিহত মনিরের লাশ সড়কে পড়েছিল বেশ কিছুক্ষণ। তবে পরে কাউসারকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাতে কথা বলেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, ‘আজ (শনিবার) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুইজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিল। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লেগেছে। আক্রমণকারী কনস্টেবল কে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং বিশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানতে আমরা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা এই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করব। আক্রমণকারী কে আমরা ইতোমধ্যে আটক করে ফেলেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।’