দেশে বাজেট-দুর্নীতি সব কিছু এখন বে-নজির: মির্জা ফখরুল
প্রস্তাবিত বাজেট ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতিসহ দেশে এখন যা হচ্ছে সব কিছু বে-নজির বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখানে এক ভাই বললেন, ‘‘বে-নজির বাজেট’’। বে-নজির তো সব দিক দিয়ে। পুলিশের অধিকর্তা ছিলেন, র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন তিনি যা (দুর্নীতি) করেছেন তাও বে-নজীর, এখন বাজেট হচ্ছে তাও বে-নজির, সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ছিলেন, তিনি যা করেছেন তাও বে-নজির।’
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী দলের উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়াউর রহমানের গৃহীত কর্মসূচি ও নীতি: বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লব ও পল্লী উন্নয়নের মূলভিত্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী দলের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডির সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় আলোচনা সভায়ঢ আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট কালো টাকার বাজেট; কী করে কালো টাকা সাদা করা যাবে; কী করে দুর্নীতি আরও বেশি করা যাবে; তার বাজেট। পরিবহনখাতে বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি। কারণ, এখানে চুরি করার সুবিধা সবচেয়ে বেশি।’
তিনি বলেন, ‘বাজেটে ক্যাপিটাল মেশিনারিজের ওপর ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। ক্যাপিটাল মেশিনারিজে ট্যাক্স বাড়ানোর অর্থ কি? অর্থ হচ্ছে এখানে যেন ইন্ডাস্ট্রি না হয়। যন্ত্রপাতি যাতে আমদানি করতে না পারে, কলকারাখানা না হয়।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার মিথ্যার ওপরে টিকে আছে। সব পরিসংখ্যান ফলস, বানানো, তৈরি করা। কর্মসংস্থান কোথায়? মানুষ কাজ পায় না। ঢাকা শহরে যারা ছোট-খাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করত, চাকরি করত তারাও সব গ্রামে চলে যাচ্ছে। সেখানেও কাজ নেই; একটা ভয়াবহ অবস্থা।’
তিনি বলেন, ভয়াবহ এই দানবকে সরাতে না পারলে সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা আসবে না। দেশের চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তরুন প্রজন্মকে জাগিয়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজির কারণে। এ সবই করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশের প্রথম সমস্যা হলো দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনীতিকরণ করেছে। সরকার সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কব্জায় নিয়েছে। সুতরাং এই রাজনীতির পরিবর্তন না হলে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও হবে না, দুর্নীতিও বন্ধ হবে না। যারা মানুষের হক নষ্ট করে তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করা ঈমানি দায়িত্ব।’