সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে চাল-গম উধাও

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
০৭ জুন ২০২৪, ২০:৪০
শেয়ার :
সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে চাল-গম উধাও

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ১৩১ মেট্রিক টন চাল, ৬৮ মেট্রিক টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬ পিস খালি বস্তার হদিস মিলছে না। এ ঘটনায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন সিদ্দিককে অভিযুক্ত করে পলাশবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক। 

এ বিষয়ে তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিব রেওয়ানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কালাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবহান ও গাইবান্ধা খাদ্য পরিদর্শক আল আউয়াল। গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে চাল-গম ও বস্তা উধাওয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন কর্তৃপক্ষ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মিজানুর রহমান বলেন, ‘কমিটি গত ৩ জুন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ওই গুদামে ১৩১ টন চাল, ৬৮ মেট্রিক টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার হিসাব মিলছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই পরিমাণ খাদ্য শস্য ও সামগ্রী তছরুপ করা হয়েছে। এর পরপরই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরপরই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিনাজুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের মহাপরিচাক এক আদেশে (ওসি এলএসডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সিলেট বিভাগের যোগদানের নির্দেশ দেন। গত ১৯ মে তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা আছে। ’

এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার পরিদর্শক লাইছুর রহমান জানান, প্রাপ্ত অভিযোগটি ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।