বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে ৮৭ জনের নামে মামলা

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
০৭ জুন ২০২৪, ১৮:০৭
শেয়ার :
বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে ৮৭ জনের নামে মামলা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ ৮টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারী থানায় পৃথক দুটি মামলায় ৮৭ জনকে আসামি করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখির গ্রামের পূর্বপাড়ায় বাড়িঘরে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়ার সমর্থকদের ওপর পরাজিত প্রার্থী শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটুর কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল হক মিয়ার স্ত্রী কুলসুম বেগম ও মো. নুর ইসলাম শেখ বাদি হয়ে যথাক্রমে ৪৬ জন ও ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারী থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটুর সমর্থকগণ পরাজিত হয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়ার সমর্থক মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল হক মিয়ার স্ত্রী কুলসুম বেগম, নুরুল ইসলাম, রফিক শেখ, আলমগীর শেখের বাড়িসহ অন্তত ৮টি বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট চালান। এতে ওই পরিবারগুলোর প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ নুর ইসলাম শেখর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা বেগম বলেন, ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক বাইখির গ্রামের আব্দুস সত্তার শেখের ছেলে আব্দুল্লাহ শেখ, একই গ্রামের মৃত হাকিম শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ, ওমর শেখের ছেলে মনির শেখের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত রাতের আঁধারে হামলা চালান। তারা দেশীয় অস্ত্র রামদা, রড, চাইনিজ কুড়াল, লাঠিসোঁটা নিয়ে বিভিন্ন ঘরবাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। এ সময় একটি পরিত্যক্ত ঘর সম্পন্ন ভেঙে ফেলেন তারা। এ সময় হামলাকারীদের ভয়ে পুরুষেরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।