কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, অসততাকে উৎসাহিত করা: জমির উদ্দিন
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রদানের সুযোগকে ‘অসততাকে উৎসাহিত করা’ হিসেবে অভিহিত করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘এই যে লুটপাটের কালো টাকা বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে হোয়াইট (সাদা) করা হয়। যদি ১৫ শতাংশ দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যায় তাহলে তো যারা আমরা খেটে খাওয়া লোক আছি, তাদের সঙ্গে ওদের (কালো টাকাওয়ালাদের) তো পার্থক্য থাকছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘যে করাপশন (দুর্নীতি) করে টাকা রাখবে,এই টাকা বাজেয়াপ্ত হবে না। ট্যাক্স দিয়ে যদি হোয়াইট করা যায় তাহলে তো ইউ উইল বি এনকারেজিং ডিসঅনেস্টি (আপনি অসততাকে উৎসাহিত করছেন)।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সরকারের উদ্দেশে সাবেক স্পিকার বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে (কালো টাকা সাদা করার বিষয়) সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এটি বিবেচনার সময়ে সাবধানে দেখবেন যে, পার্থক্য থাকে যেন, ওয়ান ইজ আর্নিং মানি অ্যান্ড আদার ওয়ান ইজি গেটিং মানি। আর্নিং মানি কোন সময়ে গেটিং মানির সঙ্গে এক না হয়- এটুকু অনুরোধ সরকারের কাছে রইল।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর স্মরণে এই আলোচনা সভা হয়। গত ২ মে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আইন অঙ্গনে প্রয়াত আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রবীন আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, রুহুল আমিন গাজী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম লিটন, আবদুল হালিম মিঞা, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডভোকেট জামিলা মনসুর, খুরশীদ আলম, জামিলা মমতাজ, শামীমুর রহমাম শামীম, ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও প্রয়াত এ জে মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াজ হোসেন খন্দকার বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা কোর্টের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।