বাজার পরিস্থিতিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ
দুঃসময় পার করছে দেশের অর্থনীতি। ডলার সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ, বারবার টাকার অবমূল্যায়ন- ফলে কমে যাচ্ছে টাকার মান। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে পণ্যমূল্য।
আর এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি এ সরকারের প্রথম বাজেট আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। যা বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট।
তবে নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দাম দীর্ঘদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে বিভিন্ন সবজির দাম। বিশেষ করে ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ কিছু সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। বাজেটের প্রভাবও পড়েছে বাজারে। ঈদের আগেই বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, আটা, ডাল ও মাছ-মাংস।
আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও অনেক জায়গায় ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, জাত ও মানভেদে বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা ও পটল ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
স্থান ও মানভেদে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমে কেজিতে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ১০০ টাকা, গাজর ৮০-১০০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাদামি ডিমের দাম ডজনে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৫৫ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ জাতভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বিভিন্ন জাতের এবং আমদানি করা রসুন ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা কেজি। আকার ও মানভেদে অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া। চাষের কই ২৮০-৩৫০ টাকার নিচে মিলছে না। আকার ও মানভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এছাড়া পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৪০০-৫০০, বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও রুপচাঁদার কেজি ১ হাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৮০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি স্থানভেদে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৫০ থেকে ৩৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারের যে পরিস্থিতি হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
তবে বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।