বাঘায় অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ, ভোট পুনর্গণনার দাবি

অনলাইন ডেস্ক
০৭ জুন ২০২৪, ০১:২২
শেয়ার :
বাঘায় অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ, ভোট পুনর্গণনার দাবি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. রোকনুজ্জামান রিন্টু। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন কারে তিনি অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি ভোট নুনর্গণনার দাবি জানান।

দুর্নীতির সাথে এক আনসার কর্মকর্তাসহ বাঘার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

তিনি জানান, নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে ফলাফল পুনর্গণনার জন্য নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর আদেন করেছেন।

বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল অনুসারে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. রোকোনুজ্জামান রিন্টু ১০৬ ভোটে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. লায়েব উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন। আনার প্রতীকের প্রর্থী পান ৩২ হাজার ২৯৯ ভোট এবং বিজয়ী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পান ৩২ হাজার ৪০৫ ভোট। মো. রোকনুজ্জামান রিন্টু ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

সংবাদ সম্মেলনে মো. রোকনুজ্জামান দাবি করেন, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান; এই তিন পদে একত্রে নির্বাচন হলেও তিন পদে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ও হার এক নয়। অথচ এই সংখ্যাটি তিনিটি পদেই একই হবার কথা। ভোট গণনার সময় বেশ কিছু কেন্দ্র থেকে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। এছাড়াও অধিকাংশ কেন্দ্রের ফলাফল শিটে তার পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। এমনকি তাদেরকে ফলাফল শিটও দেওয়া হয়নি।

এ সময় তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বাঘা উপজেলার ৫ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই ভোটের ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে গণনায় অনিয়ম করা হয়েছে।

এই কর্মকর্তারা হলেন, বাঘার কৃষি কর্মকর্তা সুলতান শফিউল্লাহ জনি, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিলন দাশ, বিআরডিবি কর্মকর্তা ইমরান আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. ফ. ম হাসান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের এ্যকাডেমিক সুপারভাইজার মাহমুদুল হাসান খান।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচক কমিশনের সচিব বরাবর প্রদত্ত লিখিত অভিযোগ উপস্থাপন করেন মো. রোকনুজ্জামান রিন্টু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদেক কবির এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন।