কংগ্রেসের সামনেও সরকার গঠনের সুযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪ জুন ২০২৪, ২২:০৮
শেয়ার :
কংগ্রেসের সামনেও সরকার গঠনের সুযোগ

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তাদের নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও এককভাবে তা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। ফলে আগের মতো পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা থাকছে না তাদের। বিপরীতে বুথফেরত জরিপ মিথ্যা প্রমাণ করে চমক দেখিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়া।

ভারতের লোকসভায় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হলে একটি দলকে অন্তত ২৭২টি আসন পেতে হবে। তবে বিজেপি কিংবা কংগ্রেস কেউই এই সংখ্যা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। ফলে জোট সরকারই একমাত্র সমাধান। সেক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তবে ইন্ডিয়া জোটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এখন পর্যন্ত মোট ২৯৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে আছে ২৩২টি আসনে। আপাতদৃষ্টিতে সরকার গঠনের দৌড়ে মোদি এগিয়ে রয়েছে মনে হলেও মুহূর্তেই দৃশ্যপট পাল্টে যেতে পারে যদি মিত্র দলগুলো জোট বদলের সিদ্ধান্ত নেয়।

এনডিএ’র দলগুলোর মধ্যে বিজেপির পরে বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিএম) । দল দুটি পেয়েছে ৩০টি আসন। তাই তারা এনডিএ থেকে বের হয়ে যদি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেয় তাহলে ঝুলে যাবে ভারতের পার্লামেন্ট। তখন ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে দুই জোটেরই। তখন এনডিএ জোটে থাকা যেকোনো একটি দলই হয়ে যেতে পারে ট্রাম্প কার্ড।

তবে জেএনইউ ও টিডিএমের নাম আলাদা করে বলার কারণ হচ্ছে দুটি দলই আগে ইন্ডিয়া জোটে ছিল। তাই আবার যদি জোট বদল করে তারা তাহলে পাল্টে যাবে রাজনৈতিক দৃশ্যপট। এমন ইঙ্গিত মিলেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্যেও।

দুই আসনে বিশাল ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে রাহুল বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার আমাদের জোটের বৈঠক আছে। সেখানে আমরা জোটের শরীক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।‘

এ ছাড়া ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম নেতা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শারদ পাওয়ারও আভাস দিয়েছেন জোট সরকারের। তিনি বলেন, এখনো সরকার গঠনের ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা হয়নি। আমি নিশ্চিত নই আমরা সরকার গঠন করতে পারবো কি না। আগামীকাল জোটের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। ‘

সংবাদমাধ্যম টাইমসনাউয়ের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নিতিশ কুমারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ইন্ডিয়া জোট থেকে। আর নাইডুকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ মর্যাদার কথাও বলা হয়েছে। তবে এই দুই নেতা কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তা জানা যায়নি।

কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খারগেকে সরকার গঠনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, শরীকদের সঙ্গে বৈঠক করে কোনো কৌশল বের করা হবে।