আনার হত্যাকাণ্ড: আরেক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া নামের আরেক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রিমান্ড চলাকালে তানভীর ভূঁইয়া স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিএমপি ডিবির সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
একই আদালত গত ৩ জুন আসামি শিলাস্তি রহমানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
গত ২৪ মে আসামি সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানের ৮ দিন এবং গত ৩১ মে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
নিহত আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলা করেন। মামলায় মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, ‘মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় (ন্যাম ভবন) আমরা সপরিবারে বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। গত ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।’
এজাহারে ডরিন উল্লেখ করেন, ‘গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে ‘
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।’
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই