সাবেক ছাত্রনেতা শফী আহমেদ আর নেই
নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতা শফী আহমেদ আর নেই। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন শফী আহমেদের স্ত্রী তাহেরা খন্দকার। তিনি জানান, বিকেলে ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাবেক এই ছাত্রনেতার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
শফী আহমেদের বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী রেখে গেছেন।
শফী আহমেদের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। দলের দপ্তর থেকে পাঠানো শোক বার্তায় শফী আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শোক জানিয়েছেন।
শফী আহমেদ আওয়ামী লীগের সাবেক সহসম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন। আশির দশকের ছাত্রনেতা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সংগঠক জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন শফি। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় তার আর ভোট করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা এই ছাত্রনেতা অমৃত্যু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই ছিলেন। নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট করার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই চলে গেলেন তিনি।