চোরাই গরু প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে সরকার: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অবৈধভাবে কোনো গরু যেন দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি খুব কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। আজ রবিবার রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে ডেইরি সায়েন্স বিভাগের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘কোরবানিকে সামনে রেখে কিছু দুষ্টু ও মতলববাজ লোক আমাদের দেশীয় খামারিদের নিরুৎসাহিত করার জন্য চোরাইপথে অবৈধভাবে কিছু কিছু গরু আনছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে যথোপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে। সুতরাং দেশীয় খামারিদের এ ব্যাপারে ভাবনার কোনো কারণ নেই। মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা যেন আসন্ন ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানে থাকবে।’
গ্রামে প্রান্তিক খামারিরা দামের অভাবে অনেক সময় দুধ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দুধের দাম কম হলেও দুধ থেকে উৎপন্ন মিষ্টির দাম অনেক বেশি। দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তারা অনেক সময় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। খামারিরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেরকম একটা ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘দুধের উৎপাদন বাড়ালে দুধ খাওয়া বাড়বে এমনটি নয়, বরং দুধ খাওয়ার প্রবণতা বাড়লেই দুধের উৎপাদন বাড়বে। কারণ চাহিদা বাড়লেই সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। দুধের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় আনার মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বাড়ানোর উৎদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শুধু একটা স্বাধীন দেশই দিয়ে যাননি। বরং স্বাধীন দেশকে কীভাবে খাবারে, পুষ্টিতে, ভাতে, মাছে উন্নত দেশে পরিণত করা যায়। সে ভাবনাটিও তিনি সঙ্গে সঙ্গে করেছেন।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’