এমপি আনারকে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের সন্ধান অথবা মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঝিনাইদহে প্রতিদিনই হচ্ছে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি। আনারের সন্ধান অথবা মরদেহ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ভূষণস্কুল সড়কে মানববন্ধন থেকে নেতাকর্মীরা এ ঘোষণা দেন।
পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু। আনার খুন বা গুমের প্রতিবাদে মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, কী ক্ষতি করেছিলেন আমাদের প্রাণ প্রিয় নেতা এমপি আনার। তিনিতো কাউকে হত্যা করেননি বা কারো জমি দখল করেননি। তবে কেন তাকে হত্যা বা গুমের শিকার হতে হল। আমরা এমপি আনারের আদর্শে গড়া নেতাকর্মীরা হারিয়ে যায়নি। তার আদর্শকে বুকে জড়িয়ে সকল চক্রান্তকারী যড়যন্ত্রকারীদের আটক ও ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
মানববন্ধনে নেতারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রশাসনের সকল পর্যায়ে এমপি আনারের নিখোঁজ বা হত্যার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এখন আমাদের একটাই দাবি এমপি আনার খুন হলে তার মরদেহ চাই, আর নিখোঁজ হলে সন্ধান চাই। তা না হলে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান ওদু, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহজনাজ পারভীন, ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল ইসলাম মন্টু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয় আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শমসের, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পৌর কাউন্সিলরসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের গেদে বন্দর পার হয়ে পশ্চিবঙ্গে যান। ১৩ মে থেকে নিখোঁজের পর ২২ মে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনে খুন হয়েছে বলে সংবাদ আসে। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তদের আটক ও তার শরীরের টুকরা উদ্ধার হয়েছে বলেও প্রচার হয়। কিন্তু এমপির পরিবারের সদস্যদের সাথে ডিএনএ টেষ্ট না হওয়াতে মৃত্যু নিয়ে ধোয়াশা রয়েই যায়।