নির্বাচন কমিশনে গিয়ে কেন দুঃখ প্রকাশ করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ রবিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যার জবাব দিতে আসেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর বিপক্ষে একটি শোকজ নোটিশ ছিল, যার জবাব দেওয়ার জন্য আমি আইনজীবী হিসেবে এখানে এসেছি। মূলত, একটি ভিডিও এখানে দেখানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি (প্রতিমন্ত্রী) তিনজনের জন্য ভোট চেয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভোট চাওয়ার বিষয়টি দুবার বলা হয়েছে। এর মানে এটি সুপার এডিট হতে পারে। আর এ বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ করলে সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।’
সুমন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ইমেজ ঠিক রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন যে কাজ করছে এর জন্য প্রতিমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, “কোনো কারণে যদি আমার জানার বাইরে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে আইনের ব্যত্যয় ঘটায়নি”।’
গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রতিমন্ত্রীকে শোকজ করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আপনি ৩১ মে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাটে এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণকালে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ৫ জুন অনুষ্ঠেয় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মু. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী রওশন মৃধা ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী পারভীনের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।এ খবর বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২২ অনুসারে একজন সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আপনার উল্লিখিত প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আচরণবিধি লঙ্ঘন। উল্লিখিত আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী ২ জুন বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার