দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে
কিশোরগঞ্জে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীরকে (৪৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হুমায়ুনকে গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান, ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী মাদ্রাসার আবাসিক বোর্ডিংয়ে থেকে পড়াশোনা করেন। তিন মাস ধরে অধ্যক্ষ তাদের কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে দুই শিশুকে নিজের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে যৌন নিপীড়ন করেন হুমায়ুন কবীর। এ সময় ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী চিৎকার করলে তাদের গলা চেপে ধরেন তিনি। পরে কৌঁশলে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় গিয়ে তারা পরিবারের সদস্যদেরকে ঘটনাটি জানায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই জেলা শহরের সতাল এলাকা থেকে হুমায়ূনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্ত হুমায়ুন কবীর জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নানশ্রী গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমাদের বাচ্চারা কি মাদ্রাসায়ও নিরাপদ নয়! আমরা দ্বীনের রাস্তায় জ্ঞান আহরণের জন্য সন্তানকে মাদ্রাসায় দিয়েছি। কিন্তু সেখানেও আমাদের সন্তান নিরাপদ রইল না। আল্লাহর পথে শিক্ষা দেওয়ার বদলে তারা শয়তানের শিক্ষা দিতে চেয়েছে। আমাদের সন্তানদের মতো যেন অন্য কারও সন্তান এমন ঘটনার শিকার না হয়। এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করানোর প্রতি মানুষের আস্থা উঠে যাবে।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, মামলা করার পর বৃহস্পতিবার রাতেই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।