প্রাণনাশের আশঙ্কায় থানায় জিডি করলেন এমপি ফারুক

রাজশাহী ব্যুরো
৩১ মে ২০২৪, ২০:২৮
শেয়ার :
প্রাণনাশের আশঙ্কায় থানায় জিডি করলেন এমপি ফারুক

প্রাণনাশের আশঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গোদাগাড়ী থানায় এ জিডি করা হয়।

জিডিতে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গোদাগাড়ী উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে তিনি খবর পান উপজেলা চত্বরে প্রায় আড়াই হাজার আওয়ামী চেতনাবিরোধী দাঙ্গাবাজ লোক জড়ো হয়েছে। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি উপজেলা চত্বরে যান। এসময় তিনি ইউএনওর কাছে জানতে চান, এতো মানুষ সমবেত হওয়ার বিষয়ে তার কাছে কোনো অনুমতি নিয়েছে কি না? ইউএনও জবাবে জানান, ‘‘কোনো অনুমতি নেই। ’’ 

সেখানে ফারুক চৌধুরী জানতে পারেন, গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন সোহেলের নেতৃত্বে তারা উপস্থিত হয়েছেন। তারা ফারুক চৌধুরীর প্রাণনাশের জন্য পরিকল্পনা করে সেখানে উপস্থিত হয়েছে। পরে ফারুক চৌধুরী সভা শেষ করে বাসায় ফিরে যান। 

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ী উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহেল দায়িত্বগ্রহণ করেন। ওইদিনই মাসিক সমন্বয় সভাও ছিল। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই চেয়ারম্যান সোহেলের বিপুলসংখ্যক সমর্থক উপজেলা চত্বরে শোডাউন দেন। দুপুরে সেখানেই তারা খাওয়া-দাওয়া করে খাবারের উচ্ছিষ্টসহ প্যাকেট উপজেলা চত্বরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে দেয়। বিপুলসংখ্যক সমর্থক নিয়ে সোহেলের দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে ফারুক চৌধুরী এমপির সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

এ বিষয়ে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি বলেন, ‘যেহেতু উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তারা প্রাণনাশের পরিকল্পনা নিয়ে বেআইনীভাবে দুই থেকে আড়াই হাজার লোক সমবেত হয়েছে, তাই বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি করেছি।’ 

অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, ‘দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা আমাকে সঙ্গ দিতে উপজেলা চত্বরে এসেছিল। সেখানে কারো সঙ্গে কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি। এরপরও এমপি সাহেব কেন জিডি করেছেন তা আমার জানা নেই। আমার জনপ্রিয়তা দেখে ভয়ে তিনি এগুলো করছেন।’

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, ‘এমপি মহোদয় একটা জিডি করেছেন। আজ শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে জিডির তদন্তের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে তদন্ত করে পরবর্তীকালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’