২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুলের জামিন

আদালত প্রতিবেদক
৩০ মে ২০২৪, ১৮:৪৫
শেয়ার :
২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুলের জামিন

নির্বাচনের আগের দিন কারাগারে পাঠানো ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেন জামিনের এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষে আজ শুনানি করেন আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম।

একই আদালত গত ৭ মে শামসুল আলম চৌধুরীর জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানোর পরদিন ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুস্থিত হয়। কারাগারে থাকাবস্থায়ই তিনি নির্বাচিত হন।

তবে একই দিন সঙ্গে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ও ওয়ার্ড কমিশনার গোলাম মো. নাসির।

এই মামলায় গত ২২ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০২০ সালের ২৬ জুন ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসংগতি দেখতে পাওয়ায় আদালত সুয়োমোটো (স্বতঃপ্রণোদিতভাবে) সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৬ জনকে আসামি করে মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। নতুন চার্জশিটের আসামি ছিলেন আত্মসমর্পণ করা ৩ আসামি। গত ২২ এপ্রিল এ ৩ আসামিসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।

মামলার প্রথম চার্জশিটের ১০ আসামির মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল এবং এ এইচ এম ফুয়াদ। তারা কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনর ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন ওরফে বাবর, ঢাকা টাইমস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলন, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাহীন ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেবিড ও তারিকুল ইসলাম নাছিম।