‘বিএনপি জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন করেনি, জনগণ জানতে চায়’
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন করেনি, তা জনগণ জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড আজও রহস্যময় রয়ে গেছে, এ রহস্যের উন্মোচন ঘটাতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার ধোলাইখালের সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠে অসহায় হতদরিদ্র ১৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলে সাঈদ খোকন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আজ ৩০ মে দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। অর্থাৎ ৪৩ বছর আগে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার পরিবারের কেউ জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়নি। কোনো থানায় জিয়া পরিবারের কেউ কোনো এফআইআর করেনি। কেন তারা করেনি জনগণ সেটা জানতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তিন তিনবার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিএনপির নেতাদের বুকে সাহস থাকলে সেটার জবাব দিয়ে প্রমাণ করুন আপনারা সত্যিই জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসেন।’
এমপি সাঈদ খোকন বলেন, ‘জিয়া হত্যার বিচারের নামে যা হয়েছে সেটা কোর্ট মার্শাল। তখন কিছু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। প্রকাশ্যে আদালতে বিচার হলে বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারত সেদিন কী হয়েছিল, কারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। কারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বা কারা হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হতো। আজকে ৪৩ বছর পর আমি একজন ক্ষুদ্র নাগরিক হিসেবে যারা বিএনপি নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম, আপনারা জিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত করুন। বাংলার মানুষ জানতে চায় কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে কে লাভবান হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য যেদিন উন্মোচিত হবে, যারা আজকে বড় বড় কথা বলেন, যারা পান থেকে চুন খসলে জিয়ার মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন—তাদের অনেকেই এতে ফেঁসে যাবেন। কারও দিকে আঙ্গুল না তুলে আসুন আমরা সত্যটাকে উন্মোমোচন করি।’
বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠের নামকরণের কথা উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আজকে আপনারা যে মাঠে বসে আছেন, এই মাঠের নাম আমি ইচ্ছা করলে পরিবর্তন করে দিতে পারতাম। আমি তা করিনি। জল সবুজে প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণের যে ১৯টি পার্ক ও ১২টি মাঠ আধুনিকায়ন করেছিলাম, তার মধ্যে একটি এই মাঠ। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, যার যেমন পাওনা, যার যা সম্মান তাকে সেটা দিতে হবে। সমালোচনা না করে উন্নয়ন করা সম্ভব। জনগণ রয়েছে মূল্যায়ন করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘এই শহরের ২ কোটি মানুষের ৪ কোটি চোখ রয়েছে, এই ৪ কোটি চোখ ফাঁকি দেওয়া কারও পক্ষে সম্ভব না। আমি কোথাও কোনো নাম পরিবর্তন করিনি, আগের নামে রয়েছে। আমি কাজ শুরু করে দিয়ে গেছি, পরবর্তীতে যিনি এসেছেন তিনি সম্পূর্ণ করেছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সম্মান যদি কেউ চায় সে যেন আরেকজনকে সম্মান করে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার