করোনা টেস্টের নামে প্রতারণার মামলায় সাহেদের বিচার শুরু
করোনাভাইরাসের পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে টাকা আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীর আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের এই আদেশ দেন।
চার্জগঠনের ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো। বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন মাসুদ পারভেজ, দিপায়ন বসু , অনিন্দ্য দত্ত ও মো. মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে দিপায়ন বসু ও অনিন্দ্য দত্ত মামলার শুরু থেকেই পলাতক। চার্জ শুনানির সময় অপর আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামিদের মধ্যে সাহেদ এ মামলায় জামিনে থাকলেও অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তাই মামলার শুনানির সময় সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২০ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন একশিড করপোরেশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মামলাটি তদন্ত শেষে একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াদুর রহমান ২০২১ সালের ৩০ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এর আগে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় মো. সাহেদ করিমের ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ প্রদীপ কুমার রায়।
তারও আগে ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার হোতা এ আসামির অস্ত্র আইনে একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত কে এম ইমরুল কায়েশ। এ ছাড়া ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকার আরেকটি আদালত চেক জালিয়াতির মামলায় সাহেদকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
সাহেদের বিরুদ্ধে করোনা টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ উঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই
ওই বছর ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে সারাদেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র মামলাসহ ৩৬টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়।