মন্ত্রী-এমপির লোক বলেও যেন কেউ পার না পায়: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিএনজি স্টেশনগুলো ঈদের ৭ দিন আগে থেকে এবং ৫ দিন পর পর্যন্ত সারাদিন খোলা থাকবে। এ সময় নো হেলমেট, নো ফুয়েল। মন্ত্রী এমপির লোক বলেও যেন কেউ পার না পায়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে ঈদ যাত্রার প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে দুর্ঘটনা বাড়ে। দুর্ঘটনা রোধ করা সরকারের দায়িত্ব। দুর্ঘটনা কমানো না গেলে অর্থাৎ ফলাফল পাওয়া না গেলে মিটিংয়ের নামে আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নাই।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সেতুমন্ত্রী বলেন, রোজার ঈদের আগে তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে ঈদের পর অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঈদ পরবর্তী নজরদারি কমানোর কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। হেলপার যেন ড্রাইভার না হয় এই খেয়াল রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে ঈদের কোনো সম্পর্ক নেই। সহায়ক শক্তি মাত্র। যাত্রী কল্যাণ সমিতির কোনো লাইসেন্স নেই। তারা যা দুর্ঘটনা হয় তার চেয়ে বেশি তিনগুণ তুলে ধরে। অফিসে অফিসে গিয়ে চাঁদা না পেলে তারা এসব কাজ করে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি বলেন, ঈদের সাত দিন আগেই ভাঙা সড়ক মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাজীপুরের সাতটি ফ্লাইওভার চালু করা হয়েছে। এতে যানজট কমেছে। গার্মেন্টস ছুটির কারণে চন্দ্রায় ঝামেলা হয়। চন্দ্রা রুটে যে রাস্তায় কাজ চলছে সেগুলো সাত দিন বন্ধ রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে যানজট হয়। ফ্লাইওভারের নিচে জটলা সৃষ্টি হয়। এটা পরিকল্পিত কিনা জনস্বার্থে দেখতে হবে।
সিটি করপোরেশনকে ঈদের সময় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, রাজধানীর প্রবেশপথগুলো নজরদারিতে রাখতে হবে। লক্করঝক্কর গাড়ি রং দিয়ে লাভ নাই, ফিটনেস গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে, বাস মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গি নিচে নেমে গেছে। ভালো গাড়ি তারা চালায় না। এজন্য সিটি করপোরেশন ও বিজিএমইএর সঙ্গে আলাদা আলোচনা করা দরকার।