এএসপি আনিস হত্যা মামলায় বাবার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে ফাইজুদ্দীন আহম্মেদের জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। তার জেরা শেষ হওয়ায় আগামী ১ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এ মামলার আসামি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুন ও মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদসহ ১৫ জন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ এএসপি মো. আনিসুল করিম শিপন রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। ওই সময় হাসপাতালে তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার পরদিন আদাবর থানায় আনিসের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাত ফারজানার নাম অভিযোগপত্রে আসেনি।
পরে মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন বাদী ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। আদালত তা মঞ্জুর করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।
চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন।
আরও পড়ুন:
ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ