সরকারি চাকরিতে পদ খালি ৩ লাখ ৭০ হাজার
সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত ১৯ লাখ ১৫১টি পদের মধ্যে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি পদ খালি আছে বলে জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিসিএস) ক্যাডারভুক্ত চাকরিতে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপসচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ৬৫৮ জন। এ ছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ১৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত হয়েছেন। একজন বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন নারী।
তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না- এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা শৃঙ্খলা চলে এসেছে। যখন আমরা পদোন্নতি দেই, একটা প্রশ্ন আসে-পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হয়-বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত থাকেন। সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতের বিষয়ে তো রয়েছেই। তারপর একটি বিষয় রয়েছে-কিছু সংখ্যক মানুষ থাকে যারা অসুস্থ থাকেন। সেটি বাদেই আমাদের পদোন্নতি করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি, তখন কিন্তু যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে। কিছুদিনের মধ্যেই বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশ কিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপরে বেশ কিছু আমাদের রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ হচ্ছে-যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায়, এই জায়গাটি পূরণ করা।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।