রাজধানীর ১৮ ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে
ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মৌসুম পূর্ব এডিস সার্ভে-২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, মৌসুম শুরু আগেই রাজধানীতে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রভাব। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটির ১৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের থেকেও বেশি।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার ঘনত্ব ও প্রজনন স্থান নিরীক্ষার জন্য মৌসুমপূর্ব জরিপ কাজ পরিচালনা করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে বলা হয়েছে, জরিপকৃত তিন হাজার ১৫২টি বাড়ির মধ্যে ৪৬৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপা (কীটপতঙ্গের একটি জীবনপর্যায়) পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বহুতল ভবনে, ২১ দশমিক ছয় শতাংশ স্বতন্ত্র বাড়িতে, ২১ দশমিক ৬ শতাংশ নির্মাণাধীন ভবনে, ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ সেমিপাকা বাড়িতে ও এক দশমিক ৭৩ শতাংশ খালি জায়গায় মশার লার্ভা ও পিউপা পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। সাধারণত এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স’র মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ১০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
জরিপ অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিতে রয়েছে।
উত্তর সিটিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ১২ নম্বর ওয়ার্ড, যেখানে ব্রুটো ইনডেক্স ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ১৩ নম্বর ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড, এগুলোতে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪০ শতাংশ। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৩১ নম্বর ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ, ১৭ নম্বর ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এরপর ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৫২ নম্বর ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে। এছাড়াও ৩ নম্বর, ৫ নম্বর, ১৫ নম্বর, ১৭ নম্বর এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।